মো. উজ্জল মিয়া হত্যা মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল
ময়মনসিংহের ধোবাউড়ার বতিহালা গ্রামের ব্যবসায়ী । আজ মঙ্গলবার ঢাকার তিন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মনির কামাল এ আদেশ দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- নওশাদ, শাহাবুদ্দিন ও সবুজ। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মরম, মহিম, কারিম, জসিম, মিয়া হোসেন ও জালাল উদ্দিন।

আর রায়ে ইসলাম, এমদাদুল, কুদ্রত আলী ও হাছেন আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দিয়েছেন আদালত। আরেক আসামি রশিদ মামলার বিচার চলাকালে মারা যান।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আগে থেকেই উজ্জল মিয়ার সঙ্গে আসামিদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। ২০১৩ সালের ২৭ মার্চ রাত ৯টার দিকে পাশের এলাকা থেকে বার্ষিক দোলযাত্রা মেলা থেকে মোটরসাইকেলে ফিরছিলেন উজ্জল মিয়া। তার সঙ্গে ছিলেন নজর আলী ও কালাম। বতিহালা এবতেদায়ী মাদ্রাসার কাছে পৌঁছালে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা আসামিরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উজ্জলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাকে মারাত্মক জখম করে, দুই পা ভেঙ্গে দেয়। উজ্জল ও সঙ্গীদের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে আসামিরা পালিয়ে যায়। উজ্জলকে ধোবাউড়া হাসপাতালে ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় ৩০ মার্চ উজ্জলের বড় ভাই কুদরত আলী ধোবাউড়া থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দেন সিআইডির সাব-ইন্সপেক্টর পরিমল চন্দ্র সরকার।

২০১৫ সালের ২৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ২৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে সংশ্লিষ্ট আদালতের সিনিয়র আইনজীবী কাজী মো. নজীব উল্লাহ হিরু, এম. এ ছালাম প্রধান মামলা পরিচালনা করেন স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউর মাহবুবুর রহমান এবং আসামিদের পক্ষে ছিলেন।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031