আদালত বীরঙ্গনা জাহেরা খাতুনের পাঁচ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় জাতীয় সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশনের মহাসচিব বীরমুক্তিযোদ্ধা এ.বি.এম গোলাম কাদিরকে (জি কে বাবুল) কারাগারে পাঠিয়েছেন ।

আজ মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোশাররফ হোসেন আসামির জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন। মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. মোমেন বিল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ২ মার্চ জাহেরা খাতুনের মেয়ে জুমি আক্তার আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, মামলার বাদী বীরঙ্গনা জাহেরা খাতুনের মেয়ে। জাতীয় সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশনের মহাসচিব হিসেবে আসামি বিভিন্ন বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সরকারের বরাদ্দ দেওয়া উত্তর আবাসিক প্রকল্পে ফ্ল্যাট পাইয়ে দেওয়ার ক্ষমতা আছে বলে দাবি করেন। জি কে বাবুলের কথা বিশ্বাস করে জাহেরা খাতুন। তবে, ফ্ল্যাট পেতে পাঁচ লাখ টাকা লাগবে বলে জানায় বাবুল।

পরে বাবুলের কথা মতো টাকা ম্যানেজ করে গত বছরের ১০ মার্চ রাতে জাহেরা খাতুন, তার মেয়সহ কয়েকজনের উপস্থিতিতে পাঁচ লাখ টাকা দেয়। এরপর বাবুল মুক্তিযোদ্ধা স্বনির্ভর পরিকল্পনা সংক্রান্ত ফরম নিজ হাতে পূরণ করেন। যা জাহেরা খাতুনের মেয়ে স্বাক্ষর করেন। এ সময় বাবুল জানান, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফ্ল্যাট বরাদ্ধ পেয়ে যাবেন।

দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও ফ্ল্যাট বরাদ্ধ না পাওয়ায় জাহেরা খাতুন ও তার মেয়ে বাবুলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ সময় বাবুল আরও সময় লাগবে বলে কালক্ষেপণ করতে থাকেন। শুরু করেনে নানা টালবাহানা। পরে, জাহেরা খাতুন এবং এই মামলার বাদি ও তার মেয়ে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, বাবুল একজন প্রতারক। তিনি আরও অনেকের সঙ্গে এমন প্রতারণা করেছেন। তাদের অর্থ আত্মসাত করেছেন।

তারা টাকা ফেরত চাইলে আসামি বলেন, উক্ত ফ্লাট বরাদ্ধ পেতে হলে আরও এক লাখ টাকা দেওয়া লাগবে। না হলে ফ্ল্যাট বরাদ্ধ পাওয়া যাবে না। তখন তারা আর টাকা দিতে পারবে না বলে জানিয়ে পাওনা টাকা ফেরত চান। এ সময় আসামি টাকা ফেরত দেবে না বলে জানিয়ে দেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন। পরে মামলা করেন জাহেরা খাতুনের মেয়ে।

Share Now
April 2025
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930