ছয়শ’র বেশি বাংলাদেশি অপেক্ষা করছেন সুদানে যুদ্ধাবস্থার কারণে সেখান থেকে ফেরার জন্য । সুদানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ জানিয়েছেন, পোর্ট অব সুদানের একটি ক্যাম্পে বাংলাদেশিরা জড়ো হয়েছেন।
হাঁটুর ব্যথা দ্রুত নিরাময় করুন। জয়েন্টের ব্যথা একবারেই চলে যাবে
জয়েন্টের ব্যথা শেষ করার একটি সহজ উপায়
হাঁটুর ব্যথা দ্রুত নিরাময় করুন। আবার তরুণ বোধ করতে কি করতে হবে?
জয়েন্টের ব্যথা একবারেই চলে যাবে

রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশিদের প্রথমে সৌদি আরবের জেদ্দায় আনার চেষ্টা চলছে। এখন বিষয়টি নির্ভর করছে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জাহাজ পাওয়ার উপর। সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জাহাজ পেলে সমুদ্রপথে বাংলাদেশিদের জেদ্দায় আনা হবে।

তিনি আরও বলেন, যদি ৪ মে তারা জেদ্দা পৌঁছাতে সক্ষম হয়, তাহলে ৫ মে রাতের ফ্লাইট তারা ধরতে পারবে বলে আশা করছি। তবে পুরো বিষয়টি একটি আরেকটির সঙ্গে সম্পৃক্ত। প্রতিটি ধাপের কাজ সঠিকভাবে শেষ করা গুরুত্বপূর্ণ।

ধারণা করা হচ্ছে, সুদানে প্রায় দেড় হাজার বাংলাদেশি কর্মরত আছেন। তবে প্রকৃত সংখ্যাটি বাংলাদেশ দূতাবাসও জানে না। সেখানে যুদ্ধ শুরুর পর দেশে ফিরতে আগ্রহী বাংলাদেশিদের দূতাবাসের কাছে রিপোর্ট করতে বলা হয়েছিল। এখনো পর্যন্ত সাতশ বাংলাদেশি রিপোর্ট করেছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।

আগ্রহী বাংলাদেশিদের সেখানকার বাংলাদেশ দূতাবাসের ব্যবস্থাপনায় কয়েকটি বাসে করে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল থেকে পোর্ট অব সুদানে আনা শুরু হয়।

প্রায় এগারো ঘণ্টার বাস ভ্রমণ করে খার্তুম থেকে পোর্ট অব সুদানে এসেছেন বেশ কিছু বাংলাদেশি। খার্তুম থেকে এ বন্দরটির দূরত্ব আটশ কিলোমিটারেরও বেশি।

ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আগেই জানিয়েছিলো, সুদানে আটকে পড়া বাংলাদেশের নাগরিকদের সমুদ্রপথে জেদ্দা নেয়ার পর সেখান থেকে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে করে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

সৌদি আরবে বাংলাদেশে দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, সৌদি কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় জেদ্দা পর্যন্ত আসার পর তাদের দেশে পাঠানোর দায়িত্ব বাংলাদেশ দূতাবাসের।

সুদানে বাংলাদেশ দূতাবাসকে এ বিষয়ে সহায়তার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তাকে সেখানে পাঠানো হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ইতোমধ্যেই জেদ্দায় একটি স্কুলকে প্রস্তুত করা হয়েছে সুদান থেকে আসা বাংলাদেশিদের রাখার জন্য।

সেখানে খাদ্য ও ঔষধসহ দরকারি সামগ্রীসহ সাময়িক বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখান থেকেই দ্রুত বিমানের ফ্লাইটে তাদের বাংলাদেশে পাঠানো হবে।

সুদানের সামরিক নেতৃত্বের দুই অংশের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্বের কারণে এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি তুমুল সহিংসতা শুরু হয়।

খার্তুম শহরে বোমা বিস্ফোরণ, গোলাবর্ষণ অব্যাহত থাকায় যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশ আগেই তাদের কূটনীতিক ও নাগরিকদের সরিয়ে নেয়ার উদ্যোগ নেয়।

কেন এই লড়াই?
সুদানে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে জেনারেলদের একটি কাউন্সিল দেশটি পরিচালনা করছে। এই কাউন্সিলের শীর্ষ দুই সামরিক নেতাকে ঘিরেই এই লড়াই।

তারা হলেন সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ও প্রেসিডেন্ট জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং দেশটির উপ-নেতা ও আরএসএফ কমান্ডার জেনারেল মোহামেদ হামদান দাগালো।

এই দুই জেনারেল দেশটি পরিচালনা করে আসছিলেন। আগামীতে দেশটি কিভাবে পরিচালিত হবে এবং দেশটির বেসামরিক শাসনে ফিরে যাওয়ার প্রস্তাবনা নিয়ে এই দুই নেতার মধ্যে বিরোধ তৈরি হয়।

প্রায় এক লাখ সদস্যের র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসকে সেনাবাহিনীতে একীভূত করার পরিকল্পনা এবং তার পরে নতুন এই বাহিনীর নেতৃত্বে কে থাকবে তা নিয়েই মূলত এই বিরোধ।

সূত্র: বাসস

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031