জ্ঞান-বিজ্ঞানে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন। তরুণদের মধ্যে প্রচুর মেধাবী রয়েছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে এদেশের মানুষও একদিন চাঁদে যাবে, প্লেন বানাবে। এজন্য বিজ্ঞান ও গবেষণার প্রতি সরকার জোর দিয়েছে।

রবিবার (৯ জুলাই) সকালে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে যখন ক্ষমতায় আসি তখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছিল অস্ত্রের ঝনঝনানি। বিজ্ঞানের প্রতি ছাত্ররা আগ্রহী ছিল না। এজন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নাম দিলাম। গবেষণার জন্য তখন কোনো বরাদ্দ ছিল না। আর্থিক সঙ্গতি না থাকা সত্ত্বেও তখন আমরা প্রথম ১২ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছি গবেষণার জন্য। প্রথমে কৃষিতে গবেষণায় গুরুত্ব দিই। পরবর্তী সময়ে প্রজন্মকে বিজ্ঞানমনস্ক করে গড়ে তুলতে অনেক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলি।

এ সময় শেখ হাসিনা আক্ষেপ করে বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এসে গবেষণার বরাদ্দ বন্ধ করে দেয়। যারা তখন গবেষণায় রত ছিলেন তারা বিপাকে পড়েন। অনেকে বিদেশে গিয়েছিলেন গবেষণা করতে, তারা গবেষণা শেষ না করেই ফিরে আসেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগের গণমুখী সব প্রকল্প খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে বন্ধ করে দেয়। কমিউনিটি ক্লিনিক, একটি বাড়ি একটি খামার কোনোটাই আর চালু থাকেনি। কারণ এসব প্রকল্পের উপকারভোগীরা নৌকায় ভোট দেবে। কে কাকে ভোট দেবে সেটা তার নিজস্ব ব্যাপার। মানুষ তার সেবাটা পাবে না কেন।

২০০৯ সালে পুনরায় ক্ষমতায় এসে গবেষণা খাতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কথা জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে এবং আমার ছোটবোন শেখ রেহানা, আমরা পড়াশোনা শেষ করতে পারিনি। এজন্য দুঃখটা রয়ে গেছে। পরে অনেক ডিগ্রি পেয়েছি, কিন্তু সেটাতে কী আর মন ভরে! এজন্য আমরা আমাদের ছেলেমেয়েদের শিখিয়েছি, তোমাদের জন্য কিছু রেখে যেতে পারিনি, একটা জিনিস রেখে যাচ্ছি, শিক্ষা। এটা কেউ কেড়ে নিতে পারবে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের ছেলেমেয়েদেরও বলব, কোনো ধনসম্পদ কাজে লাগে না। একটা জিনিস কাজে লাগে, সেটা হলো শিক্ষা। অনেক সময় ধনসম্পদ যে কাজে লাগে না কোভিড সেটা প্রমাণ করেছে। কিন্তু শিক্ষা কাজে লাগে।

সরকারপ্রধান জানান, গত সাড়ে ১৪ বছরে দেশের সবক্ষেত্রে পরিবর্তন হয়েছে। দেশ সমান তালে এগিয়ে যাচ্ছে, আর পিছিয়ে থাকবে না। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কেউ রুখতে পারবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031