বাংলাদেশের দরকার ১২৭ রান সিরিজের শেষ ওয়ানডে ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সান্ত্বনার জয় পেতে । ৪৫.২ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১২৬ রান তুলতে সক্ষম হয় আফগানরা।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় আফগানিস্তান। কিন্তু তাদের জুটি বাধতে সময় দেয়নি পেসার শরিফুল। তার দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট শিকার করেন শরিফুল। একই ওভারে জোড়া আঘাত হানেন তিনি। ওভারের পঞ্চম বলে ওয়ানডাউনে নামা রহমত শাহকে (০) সাজঘরে ফিরিয়ে দেন বাঁহাতি এই পেসার।
এরপর কেউ আর ক্রিজে তেমন একটা দাঁড়াতেই পারেনি। একে একে আউট হতে থাকেন আফগান ব্যাটাররা। দলীয় ১৪ রানের মাথায় রহমানুল্লাহ গুরবাজকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানান পেসার তাসকিন আহমেদ। তাসকিনের শর্ট বলটি পুল করতে গিয়েছিলেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। ২২ বলে ৬ রান করেন রহমানুল্লাহ।
ইনিংসের ৯ম ওভারে শরিফুল এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে দেয় মোহাম্মদ নবিকে। ৯ বল খেলে ১ রান করে আউট হন নবি। দলীয় ৩২ রানের মাথায় সাকিব আল হাসান নেন আফগানদের পঞ্চম উইকেট। এবার এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন নাজিবুল্লাহ জাদরান।
একটা প্রান্ত ধরে রেখে খেলে যাচ্ছিলেন অধিনায়ক হাসমতউল্লাহ শহিদি। তার সেই প্রতিরোধ ভাঙেন তাইজুল ইসলাম। ৫৩ রান তুলতেই সাজঘরে ফেরেন ৬ আফগান ব্যাটার। দলকে এই চরম বিপর্যয় থেকে টেনে তোলার দায়িত্ব নেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। একটা প্রান্ত ধরে তিনি খেলেছেন ইনিংসের শেষ পর্যন্ত। তাসকিনের করা ৪৬তম ওভারে শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হন ওমরজাই। তিনি ৭১ বলে করেন ৫৬ রান। শেষ পর্যন্ত ১২৬ রানে অলআউট হয়ে যায় আফগান ব্যাটাররা।
বাংলাদেশের পক্ষে শরিফুল ইসলাম ৯ ওভারে মাত্র ২১ রান দিয়ে তিনি একাই শিকার করেন ৪ উইকেট। এ ছাড়া, ২টি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ ও তাইজুল ইসলাম। মেহেদি হাসান মিরাজ ও সাকিব শিকার করেন একটি করে উইকেট।