বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম অনেকটাই কমেছে । ফলে, বড় বাজারগুলোতে প্রতি কেজি ব্রয়লার কেনা যাচ্ছে ১৬০ টাকার মধ্যে। পাড়া-মহল্লার দোকানে বিক্রি হচ্ছে সবোর্চ্চ ১৭০ টাকায়। গত সপ্তাহেও প্রতি কেজি ব্রয়লারের দাম ছিল ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা। আর গত মাসে তা ছিল ২০০ টাকার বেশি।

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বলছে, গত একমাসে মুরগির দাম কমেছে ১৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ। বাজারে এখন ফার্মের মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকায়, যা আগে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা।

অন্যদিকে বিক্রেতারা জানিয়েছেন, গরুর মাংসের দাম হঠাৎ কমে যাওয়ার প্রভাব পড়েছে মুরগির বাজারে। এছাড়া হরতাল-অবরোধের কারণে সামাজিক অনুষ্ঠান কমে যাওয়ায় মুরগির চাহিদাও কমেছে। সরকারের কড়া নজরদারিও দামে প্রভাব ফেলেছে। তবে দাম কমলেও সে অনুযায়ী বিক্রি বাড়েনি।

মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে রাজধানীর সর্ববৃহৎ পাইকারি বাজার কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকার আশপাশে। বিক্রেতারা ১৬০ টাকা দাম চাইলেও দরদাম করে ১৫৫ টাকায় কেনা যাচ্ছে। তবে রামপুরা বাজারে ১৬৫ টাকা এবং শান্তিনগর বাজারে ১৭০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতে দেখা গেছে।

ব্রয়লার মুরগির দাম কমার প্রভাব পড়েছে দেশি ও সোনালি মুরগির দামেও। বিভিন্ন বাজারে সোনালি মুরগির দাম চাওয়া হচ্ছিল প্রতি কেজি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে। যা গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে কম ২০ থেকে ৩০ টাকা।

রামপুরা বাজারে মুরগি বিক্রেতা সামেদুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, বিক্রি নেই। হরতাল-অবরোধে বাজারে ক্রেতা থাকে না। কিন্তু সরবরাহ ভালো। তাই দাম কমছে।

তিনি জানান, বছরের শেষ সময়ে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান থাকে, যে কারণে মুরগির চাহিদা বাড়ে। সেভাবে খামারিরাও মুরগি উৎপাদন করেছেন। কিন্তু এ বছর হরতাল-অবরোধে বিভিন্ন অনুষ্ঠান যেমন কমেছে, মুরগির বেচাকেনাও কমেছে। এতে লোকসানের মুখে খামারিরা।

ফরিদ মিয়া নামের এক বিক্রেতা বলেন, পাইকারি বাজারে দাম কমায় খুচরায় কম দামে বিক্রি করতে পারছেন তারা। দাম কম থাকলে বেচাকেনা ভালো হয়। কিন্তু এখন দাম কমলেও বিক্রি বাড়েনি।

গরুর মাংসের দাম কমাকে ব্রয়লারের দাম কমার বড় কারণ বলছেন খামার মালিক ও ব্যবসায়ীরাও।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031