বৃহস্পতিবার (৪৪) মারা গেছেন নাটোর কারাগারে অসুস্থ্য হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) ৯ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর জেলার সিংড়া উপজেলার হাতিয়ান্দহ ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ সোহেল ।

এক কন্যা জনক এ কে আজাদ সোহেল নাটোরের সিংড়া উপজেলার হাতিয়ন্দহ মহিলা কলেজের প্রদর্শক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে সিংড়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব দাউদার মাহমুদ জানান, গত ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যায় এ কে আজাদ সোহেলকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে নাটোর জেলা কারাগারে পাঠায়। তিনি বলেন, ৩০ নভেম্বর আদালত তাকে (এ কে আজাদ সোহেল) জামিন দেয়। পরে কারাগারে তাকে নিয়ে আসতে গেলে কারা কর্তৃপক্ষ জানায় এ কে আজাদ অসুস্থ থাকায় তাকে চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সোহেলকে রাজশাহী মেডিকেলের বারান্দার বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয়। জামিনের পরে কারা কর্তৃপক্ষের মারফতে পরিবারের সদস্যরা এ ঘটনা জানলে তারা গিয়ে সোহেলের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে তার মৃত্যু হয়।

নিহতের বড় ভাই শামীম হোসেন বলেন, বিনা অপরাধে আমার ভাইকে গ্রেপ্তার করে জেলে ভরে রাখে পুলিশ। নাটোর জেলে অসুস্থ হয়ে সে রাজশাহীতে মারা গেল। শুক্রবার তার জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়ে নাটোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ বলেন, এ কে আজাদ সোহেলকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠায় পুলিশ। সেখানে নির্যাতনের পরে সে স্টোক করে। কিন্তু সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসার অভাবে এই নেতার মৃত্যু হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে নাটোর জেলা কারাগারের জেলার মো. মুশফিকুর রহমান জানান, ২১ নভেম্বর এ কে আজাদ সোহেলকে জেল হাজতে নিয়ে আসা হয়। সে নাশকতার মামলার আসামি ছিল। ২৯ তারিখ সন্ধ্যায় সে অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে তাকে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করলে আমরা তাকে রাজশাহীতে পাঠিয়ে দেই। সে রাজশাহী কারাগারের আওতায় চিকিৎসাধীন ছিল। নিহত এ কে আজাদ সোহেলের অসুস্থতার কথা পরিবারকে জানানো হয়েছিলো কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, হরহামেশাই অনেকে এরকম অসুস্থ হয়। রাজশাহীর দূরত্ব অল্প হওয়ায় পরিবারকে খবর দেওয়া তখন হয়তো জরুরী মনে হয়নি।

Share Now
November 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930