একই পরিবারের তিনজন রাজধানীর বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত হয়েছেন কক্সবাজারের উখিয়ার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের । এ ঘটনার পর থেকে পুরো উপজেলায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

নিহতরা হলেন- উখিয়ার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের পূর্ব গোয়ালিয়া পালং গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃআবুল কাশেমের মেঝ সন্তান কাস্টমস কর্মকর্তা শাহ জালাল উদ্দিন, তার স্ত্রী মেহেরুন নেছা হেলালি মিনা (২৪) ও তিন বছরের মেয়ে ফাহিরুজ কাশেম জামিরা।

মুক্তার আলম হেলালি শুক্রবার (১ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের হাসপাতালে মর্গে তাদের লাশ শনাক্ত করেন।

নিহত শাহ জালাল কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা হিসেবে কেরানীগঞ্জের পানগাঁও অফিসে কর্মরত ছিলেন।

মুক্তার আলম হেলালি বলেন, তার মেয়ে ও মেয়ের জামাই শাহ জালালের তিন দিনের ছুটিতে খাগড়াছড়ি যাওয়ার কথা ছিল। তিনি কয়েকদিন আগে মেয়ের বাসায় আসেন। তার আরেক মেয়ে দিনাও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা দিতে ঢাকায় আসে।

ঘটনার সময় ওই মেয়ে রাজধানীর মনিপুরে বান্ধবীর বাসায় ছিল।ঘটনার পর থেকে তাদের মোবাইলে না পেয়ে খুঁজতে খুঁজতে ঢামেক হাসপাতালে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মরদেহ দেখে শনাক্ত করেন।

তার বড় ভাই শাহজাহান সাজু হলদিয়া পালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহত শাহ জালালের বড় ভাই শাহজাহান সাজু। তিনি জানান, তার ছোট ভাই নারায়ণগঞ্জ কাস্টমস অফিসের রেভিনিউ কালেক্টর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে তারা বেইলি রোডের কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে ডিনার করতে যান। এসময় অগ্নিকাণ্ডে স্ত্রী ও সন্তানসহ তার ভাইয়ের মৃত্যু হয়।

তিনি আরও জানান, তার ভাইয়ের শ্বশুর ও কাস্টমস অফিসের কর্মকর্তারা মরদেহ শনাক্ত করতে পেরেছেন। ধারণা করা হচ্ছে অতিরিক্ত ধোঁয়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে।

নিহতদের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে মরদেহ কক্সবাজারে আনার জন্য তিনি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।

হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী জানিয়েছেন, একই পরিবারের সবাইকে একসাথে হারিয়ে ফেলার চেয়ে বড় কষ্ট আর নেই। মরদেহ নিয়ে আসার ব্যাপারে পরিবারের সাথে কথা বলা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে বলেও জানান তিনি।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031