ফ্ল্যাটে তরুণীকে ২৫ দিন আটকে রেখে ধর্ষণের নেপথ্যে বিদেশে অবস্থান করা এক আইনজীবীর ভূমিকা জানতে পেরেছে পুলিশ রাজধানীর মোহাম্মদপুরে । আইনশৃঙ্খলা বাহিনীটি বলছে, তরুণীকে ধর্ষণ ও নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করে সেই ব্যারিস্টারকে পাঠানো হত। সেই তরুণী মামলা করার পর মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তোফাজ্জল হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল রোববার রাতে চারজনকে মোহাম্মদপুর, পল্লবী, হাজারীবাগ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা হলেন সালমা ওরফে ঝুমুর, সান এবং তার দুই বন্ধু হিমেল ও রকি। খবর বিডিনিউজের।

গতকাল দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ কমিশনার আজিমুল হক বলেন, ‘ওই তরুণীর সঙ্গে মাসুদ নামে এক ব্যারিস্টারের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ওই ব্যারিস্টার বর্তমানে দেশের বাইরে।’ সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ওই তরুণী তার পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলেন। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ব্যারিস্টার দেশে এলে তার সঙ্গে অবস্থান করতেন। তিনি বলেন, তরুণীর থাকার সে রকম জায়গা না থাকায় ব্যারিস্টার তার পূর্ব পরিচিত প্রবাসীর স্ত্রী সালমার সঙ্গে থাকার ব্যবস্থা করে দেন। এরই মধ্যে সান নামের এক তরুণের সঙ্গে ওই তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক হয়ে ওঠে। বিষয়টি সেই ব্যারিস্টার জানতে পেরে তরুণীকে ‘শায়েস্তা’ করার জন্য পরিকল্পনা করেন। ব্যারিস্টার মাসুদের নির্দেশেই সালমা, সানসহ তার দুই বন্ধু প্রায় ২৫ দিন তরুণীকে শিকল দিয়ে বেঁধে যৌন নির্যাতন চালাতেন। তিনি বলেন, সালমাকে রাজি করানো হয় অর্থের কথা বলে। পরে সালমাকে দিয়ে সানকে ‘ম্যানেজ’ করা হয়।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031