জাতীয় নির্বাচনে যে স্ট্যান্ডার্ড তৈরি হয়েছে তার নিচে নামতে দিতে চায় না বরং আরো উপরে উঠতে চাই নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা বলেছেন । আমরা চাই দেশে যাতে সব সময় একটা সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের পরিবেশ বজায় থাকে।
মঙ্গলবার সকালে রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন তিনি।
রাশেদা সুলতানা বলেন, এই নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে দেশে যতগুলো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে সব নির্বাচন হবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। যাতে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন এবং তাদের পছন্দতম প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এ কথা আমরা সবাই বলেছি। এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি নির্বাচন কমিশনের পক্ষে একাই সম্ভব না। নির্বাচনকে সফল করতে সকল বাহিনীকে এক সাথে এক ধারায় নিয়ে যাওয়াটাই এখন নির্বাচন কমিশনের প্রধান কাজ। যাতে কাজগুলো তারা সুষ্ঠভাবে করতে পারেন। সমন্বয় ছাড়া কখনো এ রকম মহাযোগ্য করা সম্ভব নয়।
ইসি রাশেদা সুলতানা বলেন, উপজেলা নির্বাচন এক সাথে না হলেও ধাপে ধাপে হবে কিন্তু সেটিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ কাজ। নির্বাচন দেশের ও দেশ গঠনের জন্য একটি অসম্ভব জরুরী বিষয়। একটা অবাধ সুন্দর সুষ্ঠু উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে কাজ করে যাচ্ছে কমিশন।
এবারের নির্বাচনে বেশকিছু নিয়ম-কানুনে পরিবর্তন এসেছে জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার বলেন, আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অনলাইন ব্যতীত কোনোভাবেই মনোনয়নপত্র দাখিল করা যাবে না। এসময় কারিগরি যেকোনো সমস্যার জন্য মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনের জন্য অপেক্ষা না করে আগেভাগেই অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিলের জন্য প্রার্থীদের অনুরোধ জানাবে নির্বাচন কমিশন।
রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীরের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন।
রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় প্রথম ধাপে ২৪টি উপজেলা এবং দ্বিতীয় ধাপে ১৯টি উপজেলা, তৃতীয় ধাপে ১৪টি উপজেলা চতুর্থ ধাপে ৯টি উপজেলার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এর মধ্যে প্রথম ধাপে আগামী ৮ মে রাজশাহী জেলার দুইটি উপজেলা গোদাগাড়ী ও তানোর এবং দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ মে জেলার বাগমারা, দুর্গাপুর ও পুঠিয়া উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।