বকেয়া বেতন ও বোনাসের দাবিতে কেয়া নীট কম্পোজিট নামের পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা কর্মবিরতী দিয়ে বিক্ষোভ করছে মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের মতো গাজীপুর মহানগরীর জরুন এলাকায় ।

সোমবারের ন্যায় মঙ্গলবার সকালেও শ্রমিকরা কোনাবাড়ী কাশিমপুর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে। পরে ১০ টায় শিল্প পুলিশ গিয়ে তাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিলে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়। বর্তমানে শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে ভিতরে অবস্থান করছেন।

পুলিশ জানায়, কেয়া নীট কম্পোজিট লিমিটেডের কেয়া স্পিনিং মিলস্, কেয়া কটন, কেয়া ইয়ার্ন মিলস,কেয়া নীট কম্পোজিট, কেয়া,ডাইং এন্ড নিটিং এবং কেয়া কসমেটিকস শাখায় প্রায় আট হাজার শ্রমিক কর্মরত রয়েছে।

কারখানা শ্রমিক মাসুদ সাংবাদিকদের জানান, গত ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাসের বেতন, ঈদের বোনাস কিচ্ছু দেয়নি। গত ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন গত ২২ মার্চ দেয়ার কথা ছিল তাও কথা রাখেনি। এদিকে স্টাফদের বেতন আরও বেশ কয়েকমাসে বকেয়া রেখেছে। ঈদের সামনে এখন আমাদের আন্দোলন ছাড়া বিকল্প কিছু করার নেই। এছাড়াও গত ২ বছরের ছুটির টাকাও পাওনা রয়েছে।

এদিকে, সোমবার আন্দোলনের মুখে বিকেলে শুধু কেয়া স্পিনিং মিলের শ্রমিকদের শুধু ঈদ বোনাস দেয়। এরপরও তারা কর্ম বিরতি চালিয়ে যায়। ইফতারের পর স্পিনিং মিলের শ্রমিকদের সাথে কেয়া নীট কম্পোজিট লিমিটেড এর গার্মেন্টস এর শ্রমিকরা একতাবদ্ধ হয়ে কোনাবাড়ী কাশিমপুর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে রেখে। রাত ১১ টার সময় রাস্তা থেকে অবরোধ তুলে নেয়। কিন্তু মূল ফটকে নাইট শিফট এর শ্রমিকরা অবস্থান নেয়।

রাজিব নামে এক শ্রমিক জানান, আন্দোলন করা হলে কেয়া স্পিনিং মিলস্,কেয়া কটন,কেয়া ইয়ার্ন মিলসে ঈদ বোনাস দিয়েছে। তবে কেয়া নীট কম্পোজিট (গার্মেন্টস) কেয়া,ডাইং এন্ড নিটিং এবং কেয়া কসমেটিকসে ঈদ বোনাস দেয়নি। এরজন্য আন্দোলন, বিক্ষোভ চলমান রয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন স্টাফ বলেন, আমরা গত ৬ মাস যাবত বেতন পাচ্ছি না। আমরা কিভাবে চলবো। বেতন চাইলেই চাকরী নাই। এজন্য আমরা আন্দোলন করতেও সাহস করিনা।

গাজীপুর শিল্প পুলিশের ( কাশিমপুর জোন) এএসপি দিপক চন্দ্র মজুমদার জানান, ওই কারখানা শ্রমিকরা বেতন ও বোনাসের দাবিতে গতকাল থেকে আন্দোলন করছে। আমরা তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দিয়েছি। তবে তারা বলছে বকেয়া পরিশোধ না করলে আন্দোলন চালিয়ে যাবে।

শাহানা নামে এক শ্রমিক সাংবাদিকদের বলেন, আমরা কাজ করতে এসেছি, আন্দোলন করতে আসিনি। আমাদের পেটের ক্ষুধায় আন্দোলন করছি৷ বকেয়া বেতন, ঈদ বোনাস ও বাৎসরিক ছুটির টাকা না দেওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।

Share Now
March 2025
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31