অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চট্টগ্রামে উগ্রবাদী ইসকন সদস্যদের হাতে নির্মমভাবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন । এই হত্যার তদন্ত ও বিচার হবে জানিয়ে দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন সরকারপ্রধান।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে এক বার্তায় এই আহ্বান জানানো হয়।
সরকারপ্রধানে ফেসবুক পেইজে লেখা হয়- প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আজ চট্টগ্রাম বন্দর শহরে একজন আইনজীবীকে হত্যার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি হত্যার তদন্ত এবং উপযুক্ত আইনি কোর্সের নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি মানুষকে শান্ত থাকার এবং যেকোনো অপ্রীতিকর কাজে অংশগ্রহণ থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়াও তিনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছেন বন্দর শহরের নিরাপত্তা জোরদার করতে, সমস্ত দুর্বল এলাকাসহ।
আইনজীবী সাইফুলকে নিজেদের কর্মী দাবি জামায়াত আমিরের
যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিশ্চিত ও বজায় রাখতে অন্তর্বর্তী সরকার বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রামে পুলিশের সঙ্গে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় চট্টগ্রাম আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) সাইফুল ইসলাম আলিফকে কুপিয়ে হত্যা করে ইসকন সদস্যরা।
নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ (৩৫) চট্টগ্রাম আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি ছিলেন। তিনি চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার চুনতি ইউনিয়নের চুনতি এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর আগে বিকালে পুলিশ ও আইনজীবীদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের মধ্যে ওই আইনজীবীকে কুপিয়ে জখম করেন বিক্ষোভকারীরা। মৃত্যুর খবর পেয়ে সেখানে আত্মীয়-স্বজন, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও আইনজীবীরা ভিড় করেন। পরে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা।
এদিকে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যার ঘটনায় বিক্ষুব্ধ আইনজীবীরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল করেছে এবং সেখানে ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এই ঘটনায় নিন্দার ঝড় বয়ে যাচ্ছে এবং ইসকন নিষিদ্ধের দাবি জোরালো হচ্ছে।