নবী-রাসূলগণ আলায়হিমুস্ সালাম হলেন আপন আপন উম্মতের জন্য এক অনন্য আদর্শ। তাঁদের প্রতিটি কথা ও কর্ম মানবতার জন্য কল্যাণকর উত্তম আদর্শ। তাঁদের আদর্শ থেকে বিচ্যুতি দুনিয়া-আখিরাত উভয় জগতের জন্য ধ্বংস টেনে আনে। আম্বিয়ায়ে কেরাম ঈমান-আক্বীদা, আমল-আখলাক, ইবাদত-বন্দেগী, কাজ-কর্ম ও কথা-বার্তা ইত্যাদি বিষয়ে ভিতর বাহির সবদিক থেকে শয়তান ও নফসের কুমন্ত্রণা থেকে পবিত্র ছিলেন এবং এক মুহূর্তের জন্যও তাঁরা আল্লাহর হিফাজত থেকে বাইরে ছিলেন না। বরং আল্লাহ্ তা‘আলা যা হুকুম করেছেন তাই তাঁরা বাস্তবায়ন করেছেন। ইরশাদ হচ্ছে-وَمَا يَنْطِقُ عَنِ الْهَوَى إِنْ هُوَ إِلا وَحْيٌ يُوحَى-
অর্থাৎ তিনি মনগড়া কথাও বলেন না। তা তো অহী, যা তার প্রতি প্রত্যাদেশ হয়। তবে নবীগণ আলায়হিমুস সালামের গবেষণাগত ভুল-ত্রুটি গুনাহের অন্তর্ভুক্ত কিনা? এ বিষয়ে ইমাম আ’লা হযরত শাহ আহমদ রেযা খান রহমাতুল্লাহি আলায়হি প্রদত্ত চুড়ান্ত ফায়সালা ‘তা’লিকাতে রেযা’ গ্রন্থের আলোকে পাঠক সমীপে তুলে ধরার প্রয়াস পেলাম।
ইসমত তথা নিস্পাপ এর পরিচয় দিতে গিয়ে হিজরি ত্রয়োদশ শতাব্দীর মুজাদ্দিদ শাহ আবদুল আজিজ মুহাদ্দিসে দেহলভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন,
ﻋﺼﻤﺖ ﺩﻭ ﻣﻌﻨﯽ ﺩﺍﺭﺩ ﺍﻭﻝ ﺍﻣﺘﻨﺎﻉ ﺻﺪﻭﺭ ﺫﻧﺐ ﻣﻊ ﺍﻟﻘﺪﺭۃ ﻋﻠﯿﮧ ﻭﺍﯾﻦ ﻣﻌﻨﯽ ﺑﺎﺟﻤﺎﻉ ﺍﮨﻞ ﺳﻨﺖ ﻣﺨﺼﻮﺹ ﺑﺤﻀﺮﺍﺕ ﺍﻧﺒﯿﺎﺀ ﻭﻣﻼﺋكة ﻋﻠﻮﯾﮧ ﺍﺳﺖ – ﺩﻭﻡ ﻋﺪﻡ ﺻﺪﻭﺭ ﺫﻧﺐ ﻣﻊ ﺟﻮﺍﺯﮦ ﻣﻦ ﻏﯿﺮ ﻟﺰﻭﻡ ﻣﺤﺬﻭﺭ ﻭايمنعنى ﺭﺍ ﻧﺰﺩ ﺻﻮﻓﯿﮧ ﻣﺤﻔﻮﻇﯿﺖ ﺧﻮﺍﻧﻨﺪ ﻭﺑﮭﻤﯿﮟ ﻣﻌﻨﯽ ﺩﺭ ﮐﻼﻡ ﺻﻮﻓﯿﮧ-
অর্থাৎ ইসমত এর দু’টি অর্থ- প্রথমত: গুনাহ করার ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও গুনাহ সংঘটিত হওয়া ﺍﻣﺘﻨﺎﻉ ‘ইমতেনা’ বা অসম্ভব। এটা আম্বিয়ায়ে কেরাম ও ঊর্ধ্বজগতের ফেরেশতাগণের জন্য খাস। দ্বিতীয়ত: গুনাহ সংঘটিত হয় না কিন্তু হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। এটাকে সুফিয়ায়ে কেরাম ‘মাহফুজ’ নামে অভিহিত করে থাকেন। এ অর্থে সুফিদেরকে মাহফুজ বলে অভিহিত করা হয়ে থাকে।
وعليه الاكثرون انسى الشيطان يوسف – وماذا يفعل بقوله تعالى إن عبادي ليس لك عليهم بسلطان فإذا كان له هذا السلطان على الأنبياء حتى ينسيهم ذكر ربهم ومولهم فمن هاؤلاء العباد المخلصون -أعوذ بالله من الشيطان الرحيم – الاعتراف بتسلط الشيطان على يوسف اهون من الاقرار بتسلط في هذا التاويل على هاؤلاء الاكثرين ولاحول ولاقوة الا بالله العلي العظيم –
ব্যাখ্যা: فَاَنۡسٰهُ الشَّیۡطٰنُ ذِکۡرَ رَبِّهٖ আয়াতের তাফসীরে ইমাম বগভী রহমাতুল্লাহি আলাইহি (اَنۡسٰهُ) শব্দটির সর্বনামটির উদ্দেশ্যিত বিষয়ের ব্যাপারে দুটি অভিমত বর্ণনা করেছেন: এক. মাজহুল তথা অকর্তৃক/ণিজন্ত ক্রিয়া (قيل) এর সাথে সর্ম্পকিত। এর দ্বারা উদ্দেশ্য (ساقي) সাকী, যাকে শয়তান মিশরে বাদশাহর সামনে ইউসুফ আলাইহিস সালামের নাম উল্লেখ করা থেকে বিরত রেখেছিল। অর্থাৎ বন্দী দু’জনের মধ্যে যে ব্যক্তি সম্পর্কে ধারণা ছিল যে, সে রেহাই পাবে, তাকে হযরত ইউসুফ আলায়হিস সালাম বলেছিলেন, যখন তুমি মুক্ত হয়ে কারাগারের বাইরে যাবে এবং শাহী দরবারে পৌঁছবে, তখন বাদশাহর কাছে আমার বিষয়েও আলোচনা করবে যে, এ নিরপরাধ লোকটি কারাগারে পড়ে রয়েছে। কিন্তু মুক্ত হয়ে লোকটি হযরত ইউসুফ আলায়হিস সালাম-এর উক্ত কথাটি ভুলে গেল। এ হিসাবে فَأَنْسَاهُ এর মধ্যে ব্যবহৃত সর্বনামটি দ্বারা সেই বন্দী লোকটিকে বুঝানো হয়েছে। ফলে হযরত ইউসুফ আলায়হিস সালাম-এর মুক্তি আরো বিলম্বিত হয়েছিল এবং এ ঘটনার পর আরো কয়েক বছর তাঁকে কারাগারে কাটাতে হয়েছিল। দুই. শয়তান হযরত ইউসুফ আলায়হিস সালাম থেকে তাঁর প্রতিপালকের স্মরণ বিস্মৃত করেছিল, ফলে তিনি অন্যজনের সন্তুষ্টি প্রত্যাশা করেছিলেন। (নাউজুবিল্লাহ) অর্থাৎ হযরত ইউসুফ আলায়হিস সালাম বন্দীর প্রভু বা রাজার কাছে তার কথা উল্লেখ করার কথা বলেছিলেন। এতে করে তিনি যেহেতু তার প্রতিপালক রাব্বুল আলামিনকে ভুলে গিয়েছিলেন, এর শাস্তি স্বরূপ তাঁকে বেশ কয়েক বছর জেলে কাটাতে হয়েছে। এ হিসাবে فَأَنْسَاهُ শব্দের মধ্যে ব্যবহৃত সর্বনামটি দ্বারা ইউসুফ আলায়হিস সালামকে বুঝানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে ইমাম আ’লা হযরত রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, দ্বিতীয় অভিমতটি আল্লাহ তা‘আলার ঐশী বাণীর সাথে সাংঘর্ষিক। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হচ্ছে- إِنَّ عِبَادِى لَيْسَ لَكَ عَلَيْهِمْ سُلْطٰنٌ অর্থাৎ হে শয়তান! আমার বিশেষ বান্দাদের উপর তোমার ক্ষমতা প্রযোজ্য নয়। কেননা, নবীগণ আলাইহিমুস সালামের উপর শয়তানের কর্তৃত্ব যদি মেনে নেয়া হয় যে, তাঁদেরকে সে স্বীয় প্রতিপালক ও মালিকের স্মরণের ব্যাপারে উদাসীন করে দিয়েছে (নাউজুবিল্লাহ), তবে সাধারণ কর্ম সম্পাদনকারী লোকদেরকে কোন কাতারে গণণা করা হবে? মূলত হযরত ইউসুফ আলায়হিমুস সালামের উপর শয়তানের কর্তৃত্বের প্রবক্তারা শয়তানের ধোঁকায় পড়েছে, যা শয়তানের জন্য অধিকতর সহজ। আর শয়তানও স্বয়ং স্বীকার করেছিল। সে বলেছিল, وَلَأُغِوَ ينهُمْ أَجْمعيْنَ – اِلَّا عِبَادَكَ مِنْهُم الْمُخْلِصِيْنَ অর্থাৎ হে আল্লাহ! তোমার বিশিষ্ট বান্দাগণ ব্যতীত বাকী সবাইকে বিপথগামী করবো।” উল্লেখিত আয়াতে নবীগণ যে নিষ্পাপ তা সুদৃঢ়ভাবে প্রমাণিত হয়। কারণ, গুনাহ হয় শয়তানের وسوسه দ্বারা। আর নবী-রাসূল তথা বিশিষ্ট বান্দাগণ وسوسه থেকে পূতঃপবিত্র। বস্তুত সকল নবী-রাসূল নবুয়ত প্রকাশের আগে ও পরে সর্বাবস্থায় নিস্পাপ ছিলেন। মিশকাত শরীফের কিতাবুল গোসল থেকে জানা যায় যে, নবীগণের স্বপ্নদোষ হয় না। কেননা, এতে শয়তানী প্রভাব রয়েছে। এমনকি তাঁদের স্ত্রীগণও স্বপ্নদোষ থেকে পরিত্রাণ প্রাপ্ত। ইমাম বগভী রাহমাতুল্লাহি আলায়হি হযরত ইউসুফ আলায়হিস সালামের ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে হযরত হাসান বসরী রাহমাতুল্লাহি আলায়হির অভিমত বর্ণনা করে বলেন, কুরআনুল করিমে আল্লাহ তা‘আলা নবীগণ আলায়হিমুস্ সালামের গবেষণাগত ত্রুটি দোষ হিসেবে বর্ণনা করেন নি, বরং স্বীয় নিয়ামতরাজি প্রকাশের জন্য ব্যক্ত করেছেন। যেন কোন মানুষই আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত না হয়। এ প্রসঙ্গে আ’লা হযরত রাহমাতুল্লাহি আলায়হি বলেন, নবীগণ আলায়হিমুস্ সালামের ذنب )গবেষণাগত ত্রুটি ( দ্বারা উদ্দেশ্য বাতেনী ত্রুটি (صورت گناہ)। প্রকৃতপক্ষে পাপরাশি থেকে নবীগণ আলায়হিমুস সালাম পূত পবিত্র। আর এ ব্যাপারে সর্বকালে উম্মতে মুহাম্মদী সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামার মধ্যে ঐকমত্য রয়েছে। ভ্রান্ত মতবাদ ছাড়া কেউ এটা অস্বীকার করে না। এ প্রসঙ্গে তাফসীরে রূহুল বয়ানে مَاكُنْتَ تَدْرِىْ مَا الْكِنٰب الاية আয়াতের ব্যাখ্যায় উল্লেখ আছে- এ ব্যাপারে সবাই একমত যে, নবীগণ আলায়হিমুস সালাম ওহী প্রাপ্তির আগে মুমিন ছিলেন এবং কবীরা গুনাহ, এমনকি জিল্লতীপূর্ণ সগীরা গুনাহ থেকেও পবিত্র ছিলেন। নবুয়াতের পরেও পবিত্র ছিলেন। তাফসীরাতে আহমদীয়াতে এভাবে এসেছে- اِنَّهُمْ مَعْصُوْمُوْنَ عَنِ الْكُفْرِ قَبْلَ الْوَحِىْ وَبَعْدَهُ بِالْاِجْمَاعِ وَكَذَا عَنْ تَعَمُّدِ الْكَبَائِرِ عِنْدَالْجَمْهُوْرِ-
অর্থাৎ নবীগণ ওহী প্রাপ্তির আগে এবং পরে সর্বসম্মতিক্রমে কুফরী থেকে নিষ্পাপ ছিলেন। অধিকাংশ আলিমদের মতে কবীরাহ্ গুনাহ্র ইচ্ছা করা তথা গুনাহে সগীরা থেকেও পবিত্র ছিলেন। মোট কথা হলো উম্মতের সর্বসম্মত অভিমতে নবীগণ নিষ্পাপ। ইমাম মোল্লা আলী কারী রাহমাতুল্লাহি আলায়হি বলেন-
اَلْأَنْبِيَاءُ مَعْصُوْمُوْنَ قَبْلَ النَّبُوَّةِ وَبَعْدَهَا عَنْ كَبَائِرِ الذُنُوْبِ وَصَغَائِرِهَا وَ لَو سَهْوًا عَلى مَاهُوَ الْحَقُّ عِنْدَ الْمحقِّقين-
অর্থাৎ “নবীগণ আলায়হিমুস সালাম নুবূয়াতের পূর্বে ও পরে কবীরা-সগীরা উভয় প্রকার গুনাহ থেকে নিষ্পাপ ও পবিত্র এমনকি অনিচ্ছাকৃতভাবেও। এটাই মুহাক্কিক ওলামা কেরাম নিকট হক কথা।” কারণ, নবীগণের উপর থেকে যদি আল্লাহর হেফাযত উঠে গিয়ে عصمت নষ্ট হয়ে যায়, তাহলে তাঁদের নির্দেশিত শরীয়তের বিধানাবলীতে সন্দেহের অবকাশ থেকে যায়। আর যৌক্তিক দিক দিয়েও যতক্ষণ নবীগণকে নিষ্পাপ (মাসূম) মেনে নেয়া না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত নবী এবং সাধারণ দার্শনিক, সংস্কারকের মধ্যে পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় না। তাই ইসলাম এটাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছে। সুতরাং ‘খবরে ওয়াহিদ’ দ্বারা কোন নবীর গুনাহের আভাস পাওয়া গেলে তা হবে অগ্রহণযোগ্য। আর ‘খবরে মুতাওয়াতির’ দ্বারা কোন নবীর গুনাহ সংক্রান্ত বর্ণনা পাওয়া গেলে সম্ভব হলে তার প্রকাশ্য অর্থ হতে অন্য অর্থে রূপান্তর করতে হবে, যে অর্থে নবীর শান-মানে বিঘœ ঘটে না। অথবা ‘খেলাফে আওলা’ অথবা নুবূয়ত প্রকাশের পূর্বের বিষয় ধরে নিতে হবে যা মোটেই গুনাহ বলে সাব্যস্থ হতে পারে না। তাই কোনো নবীকে গুনাহগার বা কোনো কাজে আল্লাহর অবাধ্য মনে করলে ইমান নষ্ট হয়ে যাবে। বাতেল মতাদর্শের লোকেরা সূরা ফাতহ এর নি¤েœাক্ত আয়াত পেশ করে নবীজির সম্মান হ্রাস করার অপচেষ্টা চালায়।
لِّيَغْفِرَ لَكَ اللهُ مَا تَقَدَّمَ مِن ذَنۢبِكَ وَمَا تَأَخَّرَ-
এ আয়াতের ব্যাখ্যায় আল্লামা আহমদ শিহাবুদ্দিন খুফফাজী মিশরি আলাইহির রহমত উল্লেখ করেন-
و المراد (بما تأخر من ذنوب امتك) فاللام لتعليل اى غفر لاجلك ويغفر لامتك لانك رحمة لهم–
অর্থাৎ উপরোক্ত আয়াতে ليغفر শব্দে লামটি তা’লীল বর্ণনার জন্য ব্যবহৃত হয়েছে, অর্থাৎ আপনার সম্মানার্থে আল্লাহ তা‘আলা আপনার উম্মতের গুনাহ ক্ষমা করবেন। কেননা, আপনি তাঁদের জন্য রহমত। আল্লামা মোল্লা আলী ক্বারী রাহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
اى بخطابه لك ومن ذنبك (امته صلى الله عليه وسلم) على حذف مضاف-
অর্থাৎ لك ও ذنبك শব্দযুগল দ্বারা হুযূর সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লামার উম্মতকে সম্বোধন করা হয়েছে। কেননা, এখানে মুযাফকে বিলুপ্ত করা হয়েছে। আসলে ছিলمن ذنب امتك অর্থাৎ আপনার উম্মতের গুনাহ। তাই সপ্তম শতাব্দীর মুজাদ্দিদ আল্লামা ইমাম ফখরুদ্দিন রাযী রাহমতুল্লাহি আলায়হি এবং চতুর্দশ শতাব্দীর মুজাদ্দিদ আ’লা হযরত ইমাম আহমদ রেযা খাঁন বেরলভী রাহমতুল্লাহি আলায়হি এ আয়াতে কারীমার খুবই সুন্দর অনুবাদ করেছেন, যা আরবি ব্যাকরণ অনুসারে যথার্থ হয়েছে।
تاکہ اللہ تمھارے سبب سے گناہ بخشے تمھارے اگلوں کے اور تمھارے پچھلوں کے-
অর্থাৎ যাতে আল্লাহ আপনার কারণে পাপ ক্ষমা করে দেন আপনার পূর্ববর্তীদের ও পরবর্তীদের। তবে যেসব আয়াতে নবীগণের তাওবা, ইস্তেগফার কবুল করার কথা এসেছে, তার মানে হলো বৈধতার সীমায় অবস্থান করে নবীগণ যদি নিজস্ব ইজতিহাদ বা চিন্তার ভিত্তিতে কোনো অনুত্তম সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, আল্লাহ তা‘আলা সেটিও ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখেন। মহান আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে নবীগণ আলায়হিমুস সালাম-এর প্রতি যথাযথ সম্মান প্রর্দশনের তাওফিক দান করুন। আ-মী-ন বিজাহিন নবিয়্যিল আমীন সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়াসাল্লাম।
টিকা:
– নিবরাস ,২৮২-২৮৩পৃ.
– তাফসীরে খাজেন,২/২৭০
– সূরা নাজম,আয়াত: ৩-৪
– ফাতাওয়ায়ে আজিজী,১/১২৮
– মুয়ালিমুত তানযিল,সূরা ইউসুফ,আয়াত:৪২
– তাফসীরে কুরতুবী; তাফসীরে ইবন কাসীর, সূরা ইউসুফ,আয়াত:৪২
– তা’লীক্বাতে রেযা,পৃ:২৭; তাফসীরে নুরুল ইরফান, সূরা ইউসুফ,আয়াত:৪২
– তাফসীরে কুরতুবী; তাফসীরে ইবন কাসীর, সূরা ইউসুফ,আয়াত:৪২
– সূরা বনী ইসরাইল,আয়াত:৬৫
– তা’লীক্বাতে রেযা,পৃ:২৭
– সূরা হিজর,আয়াত:৪১
– মিশকাতুল মাসাবীহ, গোসল অধ্যায়
– মুয়ালিমুত তানযিল,সূরা ইউসুফ,আয়াত:২৪;তা’লীক্বাতে রেযা,পৃ:২৫
– শরহে আকায়েদে নসফী; শরহে ফিকহ আকবর; তাফসীরা আহমদীয়া; তাফসীরে রূহুল বয়ান; মাদারেজুন নাবুয়াত; মাওয়াহেবে লাদুনিয়া; শিফা শরীফ; নাছিমুর রিয়াজ
– তাফসীরে আহমদী
– মিরকাত শরহে মিশকাত
– শরহে আকাইদে নাসাফি ,৯৮ পৃ:; তাফসিরে আহমদিয়া, ২৭পৃ:
– নাছিমুর রিয়াজ ফি শরহে শিফা কাজি আয়াজ,৪/ ১৭৫
– শিফা শরীফ ২/১৫৭
– তাফসিরে কবির, ১৩/ ১৯৩
– কানযুল ঈমান, সূরা ফাতহ,