কিছু মানুষ আছেন যারা ব্যয় করে বেশি আনন্দ পা, দু-হাতে জলের মতে টাকা খরচ করতে ভালোবাসেন। মানুষ দিনরাত খেটে চলেছে টাকার জন্য। রোজগার করার জন্য কত কষ্ট সহ্য করতে হয় মানুষকে।

কথায় আছে টাকা এমন জিনিস যা পৃথিবীর সব দুঃখকেও কিনে নেওয়ার ক্ষমতা রাখে। এই রোজগার করা অর্থের মূল্য জানে যারা কষ্ট করে আয় করেন তারাই। তবে কিছু কিছু মানুষ আছেন যাদের কাছে অর্থ আয়ের থেকে ব্যয় করাতে বেশি আনন্দ পান তারা।

এমনই কিছু রাশি আছে যাদের মধ্যে এই স্বভাবটি খুব ভালো ভাবে লক্ষ্য করা যায়। দেখে নিন সেই তালিকায় আপনার রাশি আছে কি না।

সিংহ রাশি

এই তালিকায় সবার প্রথমে আসে সিংহ রাশির নাম। এরা সবাইকে খুশি রাখতে চান। এই রাশি আপনজনদের খুশিতে থাকতে দেখেই আনন্দ পান। এই প্রবণতা এদের মধ্যে খুব লক্ষ্য করা যায়। আর তাই নিজের কাছের মানুষদের খুশি রাখতে দু হাতে অর্থ ব্যয় করতে এরা দুবারও ভাবেন না। শেষ টাকাটাও খরচ করে ফেলেন, তারপরে চিন্তা করতে বসে।

তুলা রাশি

এই তালিকায় নাম রয়েছে তুলা রাশিরও। শপিং করতে ভালোবাসেন তুলা রাশির জাতক-জাতিকারা। কোনও জিনিস পছন্দ হলে এরা আর টাকা বা আয়ের কথা ভাবেন না। এরা মাঝে মাঝে ভবিষ্যতের কথা ভেবে টাকা সঞ্চয় করেন। তবে হঠাৎ করেই সেই টাকা শপিং এর জন্য খরচ করে মনে এক গভীর সুখ অনুভর করেন। এই অপরিসীম আনন্দ বোধহয় আয় করেও পান না।

ধনু রাশি

এই তালিকায় রয়েছে ধনু রাশির নামও। এই রাশির জাতক জাতিকারা অত্যন্ত কঠিন পরিশ্রমী হন। তাই কষ্ট করে আয় করার মূল্য এরা বোঝেন। কিন্তু জলের মত টাকা খরচ করার ক্ষেত্রেও এদের জুরি মেলা ভার। আয় করা টাকা গচ্ছিত রাখার থেকে খরচ করেই এরা অপার্থিব আনন্দ পান।

কুম্ভ রাশি

কুম্ভ রাশির জাতক-জাতিকাদের সমস্যা হল, এরা খুব মুডি। নিজেদের মনের ইচ্ছাকে এরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। আর এদের অর্থ সমস্যা দেখা দিলেও কোনও কোনও ভাবে ঠিক অর্থের যোগান হয়ে যায়। আর্থিক সমস্যা এদের সে ভাবে ভুগতে হয় না। শপিং, রেস্তোরাঁয় খাওয়ার জন্য এদের সবথেকে বেশি খরচ হয়। কবার কিছু ইচ্ছে হলে নিজেদের আর ঠেকিয়ে রাখতে পারেন না এরা।

মীন রাশি

রাশিচক্রের শেষ রাশি মীনও রয়েছে এই তালিয়া। স্বভাবগত দিক থেকে এই রাশির জাতক-জাতিকারা অত্যন্ত দয়ালু প্রকৃতির। অপরকে সাহায্য করতে বা দুঃস্থকে অর্থ দান করে এরা সবচেয়ে আনন্দ পান। নিজেদের জন্য এরা একেবারেই ভাবেন না। পরিবার, খুব কাছের বন্ধু বা পরিচিতদের ভালো রাখতে এরাও সিংহ রাশির মতই পার্সে থাকা শেষ টাকাটাও খরচ করে ফেলেন।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031