
সেটাই একটু সরেজমিনে দেখার জন্য স্থানীয় এক টিভি রিপোর্টার ওই টানেলে নেমেছিলেন। কিন্তু অর্ধেক পথেই ফিরে আসতে হয়েছে। অক্সিজেনের ঘাটতির কারণে আর সামনে এগোনোর সাহস পাননি তিনি। সান্তিয়াগো কিন্তু প্রতিদিন ভোর ৪টায় নেমে পড়েন খনন কাজে। আর একেকবার ৯০ পাউন্ড পর্যন্ত পাথর আর মাটির দলা নিয়ে বের হয়ে আসেন। তাঁর কিন্তু অক্সিজেন-সংক্রান্ত কোনো সমস্যাই হয় না। শুধু তা-ই নয়, দুই দশক ধরে এভাবেই প্রতিদিন খনন করে যাচ্ছেন তিনি। সান্তিয়াগো বলেন, ‘আমার ওপর আদেশ হয়েছে বলে একমাত্র আমিই পারব টানেলের শেষ পর্যন্ত যেতে, আর কারো সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করে লাভ নেই।’
লোকমুখে সুড়ঙ্গটির নামই হয়ে গেছে ঈশ্বরের সুড়ঙ্গ! সান্তিয়াগোর দাবি, ঈশ্বর যেদিন বলবেন শেষ করতে কিংবা যেদিন তিনি মারা যাবেন, সেদিনই শেষ হবে এই খননকাজ। আর খননকাজ শেষ হলেই ঈশ্বরের কাছ থেকে এক অভিনব পুরস্কারও মিলবে বলে তাঁর বিশ্বাস।